খুন নয়, আত্মহত্যাই! বলছে ওপেনএআই নিয়ে মুখ খোলা ভারতীয় বংশোদ্ভূত গবেষকের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট

তিন মাস পর প্রকাশ্যে এল ক্যালিফোর্নিয়ায় মৃত ভারতীয় বংশোদ্ভূত এআই গবেষক সুচির বালাজির ময়নাতদন্ত রিপোর্ট। জানা গেল, ‘পরিকল্পিত খুন’ নয়, বরং আত্মহত্যাই করেছিলেন সুচির! সেই রিপোর্ট হাতে আসার পরেই বন্ধ করে দেওয়া হল সুচির-মামলার তদন্ত।

চ্যাটজিপিটির স্রষ্টা সংস্থা ওপেনএআই-এ চাকরি করতেন সুচির। ২০২০ সালে ওই সংস্থা থেকে ইস্তফা দেন। সম্প্রতি সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ওই তরুণ। ওপেনএআই ইন্টারনেটের কপিরাইট আইন ভাঙছে এবং ইন্টারনেটের ক্ষতি করছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। এর পরই ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু হয় সুচিরের। সে কারণেই মৃত্যুর কারণ ঘিরে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। অনেকেই আঙুল তুলেছিলেন ওপেনএআইয়ের দিকে। এ বার পুলিশ জানাল, খুনের তত্ত্বটি খাড়া করার সপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি। বরং ময়নাতদন্তের যাবতীয় রিপোর্ট ইঙ্গিত করছে, আত্মহত্যাই করেছেন সুচির। সে কারণেই আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে সুচির মামলার তদন্ত। যদিও এ কথা মানতে নারাজ সুচিরের বাবা-মা। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন তাঁরা।

গত ২৬ নভেন্বর সান ফ্রান্সিস্কোর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল তরুণ গবেষক সুচিরের দেহ। তার পর তিন মাস পেরিয়ে গেলেও সেই মৃত্যু-রহস্যের জট কাটেনি। প্রথমে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে দাবি করা হলেও সুচিরের বাবা-মা প্রথম থেকেই খুনের অভিযোগ তুলেছিলেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে বলে দাবি করেছিলেন তাঁরা। সুচিরের বাবা-মা জানিয়েছিলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মাথায় আঘাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়াও শরীরে মিলেছে ধস্তাধস্তি করার চিহ্নও! অন্য দিকে, ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ তুলেছিলেন সুচিরের বাবা-মা। এর পরেই আরও ঘনিয়ে ওঠে রহস্য।

ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্ম সুচিরের। সেখানেই বেড়ে ওঠা। পড়াশোনা শেষ করেই চ্যাটজিপিটির স্রষ্টা সংস্থা ওপেনএআই-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন বরাবরের মেধাবী ছাত্র সুচির। কয়েক বছরের মাথায় সংস্থা থেকে ইস্তফা দেন। সংস্থার বিরুদ্ধে নানা গুরুতর অভিযোগও আনেন। তার পর পরই মৃত্যু হয় সুচিরের। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, ওপেনএআই সংস্থার ‘অন্ধকার দিক’ প্রকাশ করার কারণেই কি খুন হতে হয়েছে সুচিরকে? সেই আবহে এ বার সব জল্পনা উড়িয়ে দিল সে দেশের পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top