দিনে রাজধানীর রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করত তারা। আর রাত হতেই ধরা পড়ত অন্য রূপ! দিল্লিতে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন দোকানে চুরির ঘটনার তদন্তে নেমেছিল পুলিস। এরপরেই ছয় মহিলার একটি গ্যাংয়ের সন্ধান মেলে। স্থানীয়রা অবশ্য তাদের ভিক্ষুক হিসেবেই চিনতেন। দ্বারকা থেকে ওই গ্যাংয়ের দু’জনকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের নাম ইন্দ্রা (৬২) ও তারা (৬৫)। জোরাবর নামে এক ই-রিকশ চালককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নগদ। এই অপরাধ চক্রের বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
তদন্তে জানা গিয়েছে, দিনে বিভিন্ন এলাকার দোকানে দোকানে ভিক্ষা করত অভিযুক্তরা। একইসঙ্গে সেখানে রেকি করত তারা। রাতে শুরু হতো আসল ‘অপারেশন’। দোকানে থাকা নগদ, গয়না লুট করে সোজা রাজস্থানে নিজেদের গ্রামে চলে যেত অপরাধীরা। চুরির টাকা দিয়েই দিব্যি কেটে যেত কয়েকদিন। টাকা ফুরিয়ে গেলে আবার দিল্লি ফিরে আসত মহিলাদের গ্যাং।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি একটি দোকানে চুরির অভিযোগ দায়ের হয় পুলিসের কাছে। দোকানের মালিক ভূপেন্দ্র সিং জানান, শাটার ভেঙে নগদ ১০ লক্ষ টাকা চুরি করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে দিল্লি পুলিস। ঘটনাস্থলে থাকা দেড়শোর বেশি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। সেখানে দেখা যায়, এক যুবকের ই-রিকশ চড়ে চম্পট দিচ্ছে ছয় অভিযুক্ত। ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করে পুলিস। তদন্তে নেমে উত্তম নগরের একটি চার্জিং স্টেশনে পৌঁছয় তারা। জানা যায়, ঘটনার দিন ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ওখান থেকে ই-রিকশ নিয়েছিল জোরাবর। মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে উত্তম নগর থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিস। জোরবরকে জেরা করতেই সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, জোরাবর ইন্দ্রার ছেলে। প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, তিনজন মহিলা কাপড় দিয়ে দোকানের শাটার আড়াল করত। বাকিরা শাটার ভাঙার কাজে ব্যস্ত থাকত।
