শামা ভগত, মুম্বই: বাবার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন ছিল?
বাবার সঙ্গে কখনও দেখাই হয়নি। আমার জন্মের ছ’মাস আগেই তিনি মারা যান। অনেকেই প্রশ্ন করেন, ছবিটা করার সময় ছেলের সঙ্গে বাবার রসায়ন কেমন হতে পারে, তা বুঝলেন কীভাবে? আমার কাছে এর উত্তর নেই। আমি এখনও জানি না কেন আমি এই চিত্রনাট্যটা বেছে নিয়েছিলাম।
আপনার ছেলেদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন? তাঁরা ছবিটা দেখেছেন?
ছেলেদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। তবে একটা কথা স্পষ্ট করতে চাই, এই ছবিটা কেবল বাবা-ছেলের সম্পর্কের গল্প নয়। আরও নানা সম্পর্কের কথা বলেছে। এটা আসলে পুরুষত্বের সিনেমা।
আন্তর্জাতিক মহলে কেমন প্রতিক্রিয়া পেলেন?
মহিলারা খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। জার্মানিতে একটি বাচ্চা মেয়ে আমাকে বলেছিল, পুরো ছবিটা সে দমবন্ধ করে দেখেছে। তার ভাইয়ের কথা নাকি মনে পড়ছিল। আপনি তো অভিনয়ও করেছেন এখানে। সেই অভিজ্ঞতা কেমন?
ছবির গল্পটা আত্মস্থ করতে খুব সাহায্য করেছিল। আমি প্রতিটি শট কীভাবে নেওয়া হবে, তা কয়েক মাস আগে থেকে ভেবে রেখেছিলাম। এই কাজটা করতে গিয়ে বুঝলাম, আমি অভিনয় করতে যেমন ভালোবাসি, তেমনই পরিচালনা করতেও ভালোবাসি।
পরিচালক হিসেবে কোন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেন?
আসল চ্যালেঞ্জ রয়েছে লেখার মধ্যে। আমি বুঝেছি, এমন কোনও ছবি করব না যেটা একতরফা। আর কোনও ছবি শুরু করার আগে, তা নিয়ে রিসার্চ করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
পরিচালক হিসেবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন?
এর অনেকগুলি দিক রয়েছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিজের ক্ষতকে চিনতে পারা। নিজের দুর্বলতা সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত।
গল্পটা মাথায় এল কীভাবে?
মনে আছে, আট বছর আগে প্রথম খসড়া লিখেছিলাম। তবে সেখানে অনেক কিছু ছিল না। গল্পে মূলত পুরুষতন্ত্র আর প্রবীণ বনাম তরুণের কথা বলা হয়েছে। নিউ ইয়র্কের নাট্যকার অ্যালেক্স আমাকে শিখিয়েছিলেন কীভাবে পর্দায় গল্প ফুটিয়ে তোলা যায়। তবে তাঁর নাম ছবিতে কোথাও ব্যবহার করা হয়নি। কীভাবে সংলাপ, অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শককে দু’ঘণ্টা পর্দার সামনে বসিয়ে রাখতে হবে, সেটা তাঁর থেকেই শিখেছিলাম। ন’বছর বয়স থেকে সিনেমা দেখি। বই পড়ি। এগুলি থেকেই সিনেমা তৈরি, লেখক হওয়ার ইচ্ছা।
ছবির একটা দৃশ্যে মা-ছেলের সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে, এটা কি আপনার মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা?
জীবনে কিছু ব্যক্তিগত বিষয় থাকে। যা একান্ত আপন। এটাও তেমনই (হাসি)।
ছবিতে এমন কোনও দৃশ্য রয়েছে, যা আপনার জীবনে ঘটেছে?
একজন বৃদ্ধ ট্যাক্সি ড্রাইভারের সঙ্গে আমি রোজ চা খেতাম একটা সময়। একদিন আমাকে বলেন, দুপুরে তিনি আমাকে খাওয়াবেন। এই ঘটনাটা ছবিতেও রয়েছে।
