শুল্ক-যুদ্ধে নেমে ‘আত্মঘাতী গোল’! মগডালে বসে মার্কিন অর্থনীতির গোড়া কাটছেন ‘কালিদাস’ ট্রাম্প?

দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা। সেই সঙ্গে বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি। জোড়া লক্ষ্যে অটল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তাই একরকম কোমর বেঁধেই শুল্ক-যুদ্ধে নেমে পড়েছেন তিনি। তবে সব দেখে ভুরু কুঁচকেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের দাবি, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আখেরে লোকসানই হবে যুক্তরাষ্ট্রের। এ ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘আত্মঘাতী গোল’ করে ফেলছেন বলেও স্পষ্ট করেছেন তাঁরা।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের আগ্রাসী শুল্ক নীতির নেপথ্যে রয়েছে একটিই কারণ। ঘরোয়া উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করতে চাইছেন তিনি। ট্রাম্প মনে করেন, এতে তৈরি হবে বিপুল কর্মসংস্থান। পাশাপাশি, এর জেরে ফের ‘গ্রেট’ হবে আমেরিকা।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের আগ্রাসী শুল্ক নীতির নেপথ্যে রয়েছে একটিই কারণ। ঘরোয়া উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করতে চাইছেন তিনি। ট্রাম্প মনে করেন, এতে তৈরি হবে বিপুল কর্মসংস্থান। পাশাপাশি, এর জেরে ফের ‘গ্রেট’ হবে আমেরিকা।

আর ঠিক এখানেই আর্থিক বিশ্লেষকেরা সতর্কবাণী দিয়েছেন। তাঁদের যুক্তি, ট্রাম্পের এই শুল্ক-যুদ্ধের ফলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। কারণ এতে আগামী দিনে বিশ্বের অন্য দেশগুলিও একই হারে আমেরিকার উপর শুল্ক চাপাতে বাধ্য হবে। তখন যুক্তরাষ্ট্রের ঘরোয়া বাজারে হু হু করে বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম চলে যাবে আমজনতার নাগালের বাইরে।

এ ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের উদাহরণ দিয়েছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। তখন ছিল প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের প্রথম শাসনকাল। সে বার আমদানি করা ধাতুর উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপান তিনি। মার্কিন সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, এতে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালুমিনিয়ামের উৎপাদন ৩২ শতাংশ এবং ইস্পাত উৎপাদন ৩.৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল।

২০১৮ সালে স্নায়ুযুদ্ধের সময়ে পাশ হওয়া ‘জাতীয় নিরাপত্তা আইন’ মোতাবেক আমদানি করা ধাতুর উপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, দু’বছর পর পরিস্থিতি যথেষ্ট জটিল দাঁড়িয়েছিল। এর জেরে মার্কিন ইস্পাতশিল্পে তৈরি হয় মাত্র হাজার কর্মসংস্থান। অন্য দিকে গাড়ি, ওয়াশিং মেশিন নির্মাণকারী সংস্থাগুলিতে যে ৭৫ হাজার চাকরির সুযোগ ছিল, সেগুলি রাতারাতি নষ্ট হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top