কলকাতা নিউজ ডেস্ক : দিঘার মাটিতে প্রথম গড়াবে জগন্নাথ দেবের রথের চাকা, ইতিমধ্যে জগন্নাথ দেব, বলভদ্রদের ও সুভদ্রা দেবীর সুসজ্জিত রথ মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে জগন্নাথ ধামের সম্মুখে।আর তাতে উন্মাদনা এখন তুঙ্গে। একমাস আগেই উদ্বোধন হয়েছে দিঘার জগন্নাথ ধাম, আর এখন সেই মন্দির ঘিরেই রথযাত্রার জোর প্রস্তুতি। রথের রশ্মিতে টান দিতে মুখিয়ে আছেন বহু পর্যটক ।
জানা যাচ্ছে, এই ঐতিহাসিক রথযাত্রার শুভ সূচনা করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরীর ধাঁচে সোনার ঝাঁটা দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে শুরু হবে রথযাত্রা। ৩৬ চাকা বিশিষ্ট তৈরি রাখা হয়েছে তিনটি সুবিশাল রথ—নন্দঘোষ, তালধ্বজ ও দেবদলন।হাজার হাজার পুণ্যার্থী ও পর্যটকের ভিড় সামলাতে নিরাপত্তা ও পরিকাঠামো উন্নয়নে চলছে জোরকদমে কাজ।
রথযাত্রা উপলক্ষে থাকছে একের পর এক ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান।
১২ জুন: স্নানযাত্রা উৎসব, এরপর ১৫ দিনের অনসর—এই সময়ে মূর্তির দর্শন বন্ধ থাকবে।
২৬ জুন: নবযৌবন ও নেত্র উৎসব।
২৭ জুন: রথযাত্রার মূল দিন—আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে পালিত হবে ‘পাহান্দি বিজ’।
রথযাত্রা দেখতে ও রথের রশ্মিতে টান দিতে মুখিয়ে আছেন পর্যটকেরা। ইতিমধ্যেই অনেকে দিঘা ঘুরে দেখে যাচ্ছেন প্রস্তুতির হালচাল।তাঁরা জানাচ্ছেন, এই উদ্যোগে দিঘা পাচ্ছে নতুন চেহারা—ধর্মীয় পরব আর পর্যটন মিলেমিশে তৈরি হচ্ছে এক নতুন পরিবেশ।
রথযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রবিন্দু ‘মাসিরবাড়ি’। দিঘা থানার পাশের পুরনো মন্দিরকে মাসিরবাড়ি হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।৭৫ লক্ষ টাকার প্রকল্পে পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রায় সম্পূর্ণ।সাত দিন রথ থাকবে মাসিরবাড়িতে, চলবে মহাপ্রসাদ বিতরণ।দুটি স্থানেই পালিত হবে রীতিনীতি—মাসিরবাড়িতে যাবে রথের নিম কাঠের (দারু ব্রহ্মের) মূর্তি, আর মূল মন্দিরেই থাকবেন পাথরের বিগ্রহ।রথের দড়ি টেনে, ভক্তিরস উপভোগ করতে প্রস্তুত দিঘা। শুধু পুণ্যার্থী নয়, পর্যটকেরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের প্রতি।